নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
থেমে নেই নারী সমাজ। আজকের নারীরা নেই কোনো অংশে পিছিয়ে। তারা আজ অন্তঃপুর থেকে বেরিয়ে বিশ্ব জয় করছে। শুধু সংসার নয়, সামলাচ্ছে বাইরের কাজও। পুরুষের পাশাপাশি আজ তারাও ধরছে সংসারের হাল। আজ তারা হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। গড়ে তুলছে নিজেদের পরিচয়। তেমনি একজন সাহসী ও স্বাবলম্বী নারী সায়েমা মানোয়ার।
সায়েমার সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির।শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মূসা তপাদার।
প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-
উত্তরঃ–আমি প্রথম থেকে চিন্তায় ছিলাম কিভাবে পরিবারের পাশে দাড়াবো আমার কিছুনা কিছু করা দরকার সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করচিলাম পাশাপাশি একটা কম্পিউটার সেন্টারে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলাম, কিন্তু তারপর ও নিজে ঘরে বসে কিছু করতে ইচ্ছে করতো সাল চিলো ২০১৫ ইউটিউব দেখে দেখে রিবন দিয়ে বেবি হেয়ার ব্যান্ট বানানো শুরু করলাম, তখন অনলাইন তেমন কাজ বুজতাম না তাই দোকানে সেম্পল দেখিয়ে প্রাইকারি অর্ডার নিতাম, খুচরা রিবন কিনে তেমন পোশাতোনা কারন হাতে তৈরি করতে হত।তখন মায়ের সাহায্য ছোট্ট মূলধন নিয়ে কাজের জিনিস গুলো মা সহ ঢাকা গিয়ে পাইকারি এনে পরিপূর্ণ ভাবে কাজ শুরু করেছি। তারপর অনলাইনে কাজ শুরুর পর বিজয়ীর দেখা পেলাম, বিজয়ীর মাধ্যমে কেক এর প্রশিক্ষন নিলাম, আর এই ভাবে আমার উদ্যোক্তা জিবন শুরু অফলাইনে ও অনলাইন।।
প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-
উত্তর- আর্টিফিশিয়াল ফুলের গহনা, থ্রী-পিস, হোমমেইড কেক ইত্যাদি।
প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-
উত্তর : ব্যাবসায়ের অবস্থান আল্লাহর রহমতে ভালো, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে আমার বাড়ি রাস্তার সাথে তো একটা রুমকে শোরুমে পরিনত করবো ইনশাআল্লাহ ।।
প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?
উত্তরঃ আমার অর্থনীতিক দিক থেকে সমস্যার পড়তে হয়েছে। কারন যা ইনকাম হত তা খরচ হয়ে যেত ব্যবসার থেকে নতুন করে মুলধন যোগাতে পারতাম না। তবে মায়ের সার্পোট সবসময় পেয়েছি। বর্তমানে স্বামীও পাশে আছে কে কি ভাবলো তা দেখিনি, পরিবারের সবার সার্পট পাচ্ছি আর কি চাই। অনেকে হিংসে করতো আবার অনেকে কাজের খুব প্রশংসা করতো।
প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?
উত্তরঃ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে সর্বপ্রথম অবদান আমার আম্মুর। বিয়ের পর স্বামীর। সত্যি বলতে আমি আম্মু আর স্বামি দুজনের সহযোগীতা ও উৎসাহ পেয়েছি। তারপর বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর। আমাকে সবাই খুব সার্পোট করছে।
প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
উত্তর-আমি এইটুকুই বলব কেউ কিছু করতে চাইলে নিজের ইচ্ছে শক্তিকে জাগিয়ে তোলো। তারপর চাঁদপুরের প্রথম প্রশিক্ষন বেইজ নারী উন্নয়ন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিজয়ী কি বেছে নাও। ইনশাল্লাহ সফল হবেই।।