তানোরে স্কুল ঘর সারের গুদাম অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে নারয়ানপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে বিসিআইসির সার ডিলার সুমন সীল সার গুদাম জাত করে রেখেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে করে বিদ্যালয়ে পাঠদান চরম ভাবে ব্যহত হয়ে পড়েছে। অপর দিকে রাতের আধারে সেই সব সার পাচার করছেন বলেও কৃষকদের অভিযোগ। ফলে সারের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ডিলার সুমন শীল ও ম্যানেজার রতন এবাং প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিও তুলেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির নারায়নপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের পাকা ক্লাস রুমে ২০০০ হাজার বস্তা সার গুদাম জাত করা আছে। রুমের মেঝে মাটির, অন্ধকার হয়ে আছে। মেঝেতে পড়ে রয়েছে সার। এসব সারের নাইট্রোজেন গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যার কারনে স্কুলেও থাকতে পারছেন না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, সার রাখবে ডিলারের গুদামে, কিন্তু প্রথম শুনলাম স্কুলের ক্লাস রুমে সার গুদাম জাত করা হয়েছে। আবার রাতের আধারে পাচারও করা হচ্ছে।
বিসিআইসির সার ডিলার সুমন শীল হলেও ম্যানেজার রতন সবকিছু করেন। সে তালন্দ ইউপির ডিলার হলেও সেখানে ব্যবসা করতেন না। ম্যানেজার রতন জানান, যে গুদাম ঘর আছে সেখানে ২০০০ হাজার বস্তা সার রাখা যাবে না। এজন্য প্রধান শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে রাখা হয়েছে।
ডিলার সুমন শীল জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অনুমতি না দিলে রাখতাম না।
ওয়ার্ড মেম্বার খলিল জানান, স্কুলে সার গুদাম জাত করার কারনে চরম সমস্যা হচ্ছে, অনেকেই এসব কথা বলছে।
প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান, ডিলার ও বিএস রাজিবুল এবং কৃষি অফিসার বলার পরে রাখা হয়েছে। জনগণের স্বার্থে একাজ করা হয়েছে। বিএস রাজিবুল জানান আমি কোন সার রাখতে বলিনি।
শিক্ষকের বাসা থেকে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আমি কেন সার স্কুল ঘরে রাখতে বলব। ডিলার কেন রেখেছে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, স্কুল পড়ালেখার জায়গা, সার গুদাম রাখার জায়গা না, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, স্কুলের রুমে সার গুদাম জাত করা যাবে না। দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলের ঘরে সার রাখার কারনে নাইট্রোজেন গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাসের মারাত্মক ঝাঝালো গন্ধ, এর ক্ষতিকারক দিকের বিষয়ে মেডিকেলে ডাক্তার জানান, এগ্যাসের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে শ্বাস কষ্ট এবং মাথা যন্ত্রনাসহ বমন হবে। যার কারনে অন্য জটিল রোগও সৃষ্টি হতে।

 

সারোয়ার হোসেন
৩০ নভেম্বর /২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (রাত ১১:৪১)
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০