রাউজান প্রতিনিধি:
অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ গঠনই মাইজভান্ডারী ত্বরিকার মূল দর্শন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুলে পঞ্চদশ মাইজভান্ডারী শিশু-কিশোর সমাবেশের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)-এর ১১৭তম ওরস শরিফ উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করে মাইজভান্ডারী একাডেমী।
সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.) ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে। তাই তাদেরকে এমনভাবে গড়তে হবে যাতে তাদের প্রতিভা বিকশিত হয়। শিশু-কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে ও মনোজগৎ গঠনে সুস্থ মননশীল সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। মাইজভান্ডারী একাডেমি সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও আদর্শিক পথে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করছে।
অধ্যাপক মীর মুহাম্মদ তরিকুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সরকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান মো. আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চদশ মাইজভান্ডারী শিশু-কিশোর সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক এইচ এম রাশেদ খান, সমন্বয়ক এম মাকসুদুর রহমান হাসনু,মুহাম্মদ আবুল মনসুর, মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আশরাফ, ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন, নুরুল করিম নুরু, আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিকী,এইচ আর মেহবুব জিকু, মিডিয়া উপ কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ, আরেফিন রিয়াদ, ওমর ফারুক, শামসুল ইসলাম, প্রফেসর তাজুল ইসলাম, বলাই আচার্য্য বলাই প্রমুখ।
বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসার তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী কিরাত, হামদ-নাত, দেশাত্মবোধক গান, মাইজভন্ডারী সঙ্গীত, নজরুল ও রবীন্দ্র সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আগামী ১৩ জানুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে প্রতিযোগিতার পুরস্কর বিতরণী ও শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।