শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে টাকা উত্তোলন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী মোর্শেদা আক্তার মিয়াজীর

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সীকার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নাম করে শহরের মহিপাল, একাডেমি ও মিজান রোডে চলাচলকৃত সিএনজি থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করেছেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি মোর্শেদা আক্তার মিয়াজী।
মোর্শেদা আক্তার মিয়াজী জানান, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে কোন সড়কে টাকা উত্তোলন করা হয় না। এই সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নিবন্ধনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত। এই সংগঠন শ্রমিকদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে কাজ করে। রাস্তায় দাড়িয়ে প্রতিটি স্ট্যান্ডে লাইনম্যানের মাধ্যমে নির্ধারিত হারে বাস ও সিএনজি অটোরিকশা থেকে টাকা তোলে কিছু কুচক্রী মহল, আমাদের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোন টাকা তুলে না। রাস্তায় চলা অন্যান্য পরিবহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা তোলার নিয়ম নিবন্ধিত যেকোন সংগঠনে জন্যও অবৈধ। কিন্তু ফেনীতে এর উল্টো চিত্র নিবন্ধন ছাড়া সড়কে দাড়িয়ে টাকা তুলছে। শ্রমিকদের কল্যানে কাজের জন্য  নিবন্ধিত সংগঠনগুলো শুরুমাত্র ট্রার্মিনালগুলোতে গিয়ে সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও তহবিল গঠনের জন্য শ্রমিক ও চালাকদের স্বইচ্ছায় দেওয়া টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে। শ্রমিক ও চালকদের কুচক্রী মহলে বিরুদ্ধে সচেতন করতে এবং নিবন্ধিত সংগঠনে সুসংযুক্ত করতে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে ফেনী শহরের বিভিন্ন স্ট্যাড় গিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। এসময় ট্রার্মিনাল গুলোতে চালকদের একত্রিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং সদস্য-তহবিলের জন্য স্বইচ্ছায় ২০টাকা করে দেওয়ার জন্য বলা হয়, তবে এই টাকা কোন ভাবে সড়কে নেওয়া হবে না বলেও চালকদের জানানো হয়।
এর মধ্যে এই উদ্বুদ্ধের খবর পৌঁছে যায় এই শহরে চালকদের জিম্মি করে যারা বিভিন্ন সড়কে যারা চাঁদা নেয় তাদের কাছে। পরে তারাই আমাদের হুমকি-দামকিসহ নানা গুজব রটাচ্ছে। তাদের এই কাজে জনগণের দায়িত্বরত প্রতিনিধিরাও সাপোর্ট দিচ্ছে। যা দুঃখজনক।
সরেজমিনে দেখা যায়,  ফেনীতে পরিবহন খাতে প্রতি মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। বাস, ট্রাক, টেম্পো ও সিএনজি অটোরিকশার প্রায় অর্ধশত স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল নেতার হাতে জিম্মি এসব স্ট্যান্ড। চাঁদার ভাগ যায় বড় নেতা, পাতিনেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পরিবহন মালিক ও চালকের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করেন, প্রতিটি বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডক কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নামে বিভিন্ন সংগঠন। সিএনজি ও বাস মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নামধারীরা স্বঘোষিত মালিক ও শ্রমিক নেতা সেজে কমিটি গঠন করে রেখেছেন। প্রতিটি স্ট্যান্ডে রয়েছে তাদের লাইনম্যান। এরা নির্ধারিত হারে বাস ও সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদা পরিশোধ না করে কারও পক্ষে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। চাঁদা পরিশোধ করা না হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বুধবার (রাত ৪:৫০)
  • ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০