রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রাউজান উপজেলার ১০ নং পুর্ব গুজরা ইউনিয়নে কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা দেছে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড়ঠাকুর পাড়া এলাকা ও ৭নং ওয়ার্ডে কৃষি ভরাটের হিড়িক পড়েছে।স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাংখালী খালের ব্রীজের পাশে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর মাতা দিলুয়ারা বেগম স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সহায়তায় কৃষি জমি মাটি ভরাট করে ঘর নির্মান করার প্রস্তুতি নিয়েছে।স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল খালেক, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বকুল বড়ুয়া, মাহবুব রাতেই ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে মাটি ও বালু এনে কৃষি জমি ভরাট করছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে। কৃষি জমি ভরাটকারী পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের অবসর প্রাপ্ত দফাদার বাহাদুর বলেন আমার মালিকানাধীন একটি ছোট ডুবা ভরাট করছি, এটা কৃষি জমি নয়। এটি ভরাট করার জন্য ইউপি সদস্য আবদুল খালেক ও মাহাবুল আলম আমার প্রবাসী পুত্রের সাথে চুক্তি করে বাইর থেকে রাতেই ড্রাম ট্রাক করে মাটি ও বালু এনে ভরাট করে দিয়েছে। এব্যাপারে বড়ঠাকুর পাড়া সিএনজি ষ্টেশনে পানের দোকানের ব্যবসায়ী মাহবুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন মাটি বালুর ব্যবসা করি না। মেম্বার আবদুল খালেক বালু ও মাটি সরবরাহ করে কৃষি ভরাট কাজে। পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দফাদার বাহাদুর একটি ছোট পুকুর ভরাট করেছে। পুকুর ভরাট ও কৃষি জমি ভরাট কাজে বালু ও মাটি সরবরাহ করেনি বলে দাবী করে তিনি।তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন রাতেই শত শত ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে বালু ও মাটি এনে কৃষি জমি ভরাট করছে । কৃষি জমি ও পুকুর ভরাট কাজে আমার পাশ্ববর্তী ইউপি মেম্বার বকুল বড়ুয়া বাইর থেকে ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে মাটি ও বালু এনে দেয়। এ ব্যাপারে মেম্বার বকুল বড়ুয়া বলেন,আমি কোন মাটি ও বালুর ব্যবসা করি না। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।