মহাকাশে কারও মৃত্যু হলে মরদেহের কী হবে?

পৃথিবীতে মানুষ যত দুঃসাহসিক কাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মহাকাশে যাত্রা করা। দীর্ঘ ৬০ বছর আগে প্রথমবার মহাকাশে পৌঁছায় মানুষ। এরমাধ্যমে অসাধ্যকে সাধন করে মানবজাতি।  

এই ছয় দশকের মধ্যে অসংখ্য নভোচারী মহাকাশ ভ্রমণে গেছেন আবার ফিরে এসেছেন। তবে মহাকাশে যাওয়ার পথে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। মহাকাশযাত্রা অত্যন্ত জটিল হলেও মাত্র ২০ জনের প্রাণহানি অবাক করার মতোই।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৫ সালে চাঁদে এবং পরবর্তী দশকে মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া মহাকাশ যাত্রা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। ফলে মহাকাশে গিয়ে অনেক মহাকাশযাত্রীর মৃত্যুও ঘটবে।

মহাকাশে কারও মৃত্যু হলে কি করা হবে?

মহাকাশে কারও মৃত্যু হলে মরদেহের কী করা হবে সে বিষয়ে একটি প্রটোকল ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছে নাসা।

যদি পৃথিবীর কক্ষপথ মিশনে গিয়ে কারও মৃত্যু হয়— যেমন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতর— তাহলে অন্যান্য ক্রুরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি ক্যাপসুলে করে মরদেহ পৃথিবীতে ফেরত পাঠাতে পারবেন।

যদি চাঁদে গিয়ে কারও মৃত্যু হয়, তাহলে ক্রুরা কয়েকদিনের মধ্যে চাঁদ থেকে মরদেহ নিয়ে ফিরে আসবেন।

যেহেতু চাঁদ এবং কক্ষপথ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মরদেহ ফেরত নিয়ে আসা যাবে তাই এটি সংরক্ষণ করার চিন্তা থাকবে না। মূল চিন্তাটা থাকবে ক্রুদের বাকি সদস্যরা যেন নিরাপদে ফেরত আসতে পারেন।

তবে ৩০০ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত মঙ্গলগ্রহে যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে বিষয়টি অন্যরকম হবে। মঙ্গলে কারও মৃত্যু হলে ক্রুরা তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ নিয়ে ফিরতে পারবেন না।

ফলে মিশন শেষে করে অন্যান্য ক্রুদের মরদেহ নিয়ে ফিরতে হতে পারে। আর এই মিশনের মেয়াদ হতে পারে এক বছর বা তারও বেশি।

যেহেতু দীর্ঘ সময় মরদেহটি থাকবে তাই এটি বিশেষ কোনো চেম্বার বা ব্যাগে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এছাড়া মহাকাশযানের তাপমাত্রাও মরদেহ ঠিক রাখতে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বৃহস্পতিবার (সকাল ১১:০৯)
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১