কাতারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব এবং শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী পালিত

 

কাতার থেকে ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ

বাংলাদেশ দূতাবাস, দোহা যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব-এর ৯৩তম এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। এ উদ্দেশ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।  এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, কাতারে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, কাতারস্থ বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নারী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম বাবু, বিশেষ অতিথি হিসাবে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব  এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পবিত্র কোরান থেকে তেলওয়াত এবং  বঙ্গমাতা ও শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সহ ১৫ আগস্ট এর সকল শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরবর্তীতে  এ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব  এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগী সহযাত্রী হিসাবে বঙ্গমাতার গুরুত্বর্পূণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের অনুপ্রেরণার উৎস, একদিকে তিনি যেমন সংসারের হাল ধরেছেন অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর কারান্তরীণ অবস্থায় সাহসকিতা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।

শহিদ ক্যাপ্টেন কামাল সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ ক’রে রাষ্ট্রদূত বলেন, বহুমাত্রিক এবং সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী এই ব্যক্তিত্বের মাত্র ২৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর মতই তিনি ছিলেন বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার আর নির্ভীক। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।  বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তাঁর প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিক-নির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলেও রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।

মাননীয় সংসদ সদস্য এবং অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং দেশের জন্য তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও অনুকরণীয় জীবনাদর্শের কথা তুলে ধরেন।

এছাড়াও, এই আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর উপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়। পরিশেষে অতিথিগণকে দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বৃহস্পতিবার (সন্ধ্যা ৭:৩৭)
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১