স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের পালবাজারে বকরি ছাগলকে খাসি বলে বিক্রি করায় ভোক্তাগণ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। শরিয়তপুরের সখিপুর থেকে আনা হচ্ছে এসব বকরি ছাগল। ভোজন রসিকদের খাসির চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ভোক্তার সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে বাজারের কতিপয় অসাধু চক্র মোটা দাগে এই প্রতারণায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।
২৪ মে শুক্রবার সকালে পালবাজারে অবস্থান নিলে ভোক্তাগণ বকরি ছাগলকে খাসি বলে বিক্রির প্রতারণার অভিযোগ তোলেন।
ক্রেতা শ্যামল, আলমগীর, পার্থসহ আরো অনেকে জানান, পালবাজারে খাসির মাংস কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। ওজনে কম, মাংসে পানি প্রয়োগ, বকরির মাংস খাসি বলে চালিয়ে দেয়া, খাসির মাংসে বকরি মিশিয়ে বিক্রি, ক্রেতার অগোচরে চর্বি, হাড় ও খাওয়ার অযোগ্য অংশ মিশিয়ে বিক্রি যেনো এ বাজারে নিয়মে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, পালবাজারে হানিফ ঢালী, খলিল বেপারী, আলমগীর বেপারী ও সুফিয়ান বেপারী, জাকির দীর্ঘদিন যাবৎ খাসি বিক্রির নামে বকরি বিক্রি করে লোক ঠকাচ্ছেন। অনেক সময় এরা না থাকলেও তাদের দোকানের কর্মচারী কসাইরা একই কায়দায় লোক ঠকাচ্ছে। তাই এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, যারা মাংস চিনে ফেলছে তাদের কাছে বকরি ছাগলের মাংস ৮৫০ থেকে ৯শ’ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর যারা চিনতে পারছে না তাদের কাছে এই বকরির মাংসই খাসির মাংস বলে ১১০০ হতে ১২০০ টাকা দাম কেজি প্রতি রাখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের ব্যবসায়ীগণ জানায়, শরিয়তপুরের সখিপুর থেকে রোগা ও দুর্বল বকরি ছাগলগুলো কিনে আনেন এই পালবাজারের খাসি বিক্রেতারা। সকাল ৬টা হতে দুপুর ২/৩ টা পর্যন্ত এগুলো খাসি বলে বিক্রি করে লোক ঠকাতে তারা ব্যস্ত থাকেন। সখিপুর থেকে শহরে নিয়ে আসার পর বকরি ছাগল জবাই শেষে এগুলো বিশেষ কায়দায় কসাইরা খাসিতে রূপ দেয়। যা সরল বিশ্বাসে কিনে প্রতিনিয়ত ভোক্তারা ঠকছেন। প্রতারক এসব খাসি বিক্রেতারা খাসির একটি পায়ের সাথে জবাইয়ের পর বকরির একটি পা মিলিয়ে ঝুলিয়ে রেখে খাসির মাংস বলে বিক্রি করেন। মাংস কেটে ওজন দেওয়ার আগে পলিথিন ব্যাগে রাখার সময় হাতে লুকিয়ে রাখা চর্বি বা খাওয়ার অযোগ্য অংশও দ্রুতই মিশিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও মাংসে পানি মিশিয়েও ওজন অনেক বাড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বকরিকে খাসি বলে