বছরে সাশ্রয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

নিউজ ডেস্কঃ

পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে দক্ষিণের ১৯ জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমবে, বাঁচবে সময়। দ্রুত যাতায়াতের জন্য যাত্রীরা উপকৃত হবেন।

সেতু দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫৫ থেকে ১১০ শতাংশ সময় কম লাগবে। দূরত্ব কমবে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। এতে ২০২৩ সালে অর্থনীতিতে পরিচালন ব্যয় সাশ্রয় হবে ৪৫০০ কোটি টাকা। প্রতিবছর এ সাশ্রয় ৭ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়বে। ফলে ২০৪৪ সালে সাশ্রয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর বিষয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানে বহুমুখী ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সারা দেশের মানুষের মধ্যেও এর প্রভাব থাকবে।

কেননা যোগাযোগে দূরত্ব ও সময় কমবে, দুর্ভোগ লাঘব হবে। ফলে অর্থনীতিতে পরিচালন খরচ কমে গিয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জিডিপিতে। পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ৫০ মিনিট।

পদ্মা সেতু দিয়ে গেলে সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় বাঁচবে। মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে খুলনার দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। পদ্মা সেতু দিয়ে গেলে সময় বাঁচবে ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় হবে গড়ে ৫৬ থেকে ৭৫ শতাংশ। দূরত্ব কমবে হবে ৩০ শতাংশ।

পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট। পদ্মা সেতু দিয়ে দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট। পাটুরিয়া ফেরিঘাটের চেয়ে দূরত্ব কমবে ৫০ কিলোমিটার। সময় সাশ্রয় হবে ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে যেতে দূরত্ব একই হলেও সময় সাশ্রয় হবে ৯ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। এক্সেত্রে সময় বাঁচবে ৪৮ থেকে ৭৫ শতাংশ। দূরত্ব কমবে ২৫ শতাংশ।

গবেষণায় স্বাভাবিক অবস্থায় যাতায়াতের সময় হিসাব করা হয়েছে। কিন্তু ছুটির দিন বা বিশেষ দিনগুলোতে সময় আরও বেশি লাগে। কেননা তখন গাড়ির চাপ বেশি থাকে। এতে যানজট প্রকট হয়। কখনও কখনও ঢাকা থেকে পাটুরিয়া বা মাওয়া ফেরি পার হতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা। কখনও কখনও আরও বেশি। মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে যাতায়াতের সময় আরও বেড়ে যায়। এতে মানুষ ও গণপরিবহণের অপচয়ও বাড়ে।

সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার। এখন মাওয়া দিয়ে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ঢাকা থেকে মাওয়া দিয়ে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩০১ কিলোমিটার। এখন যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা। কখনো আরও বেশি। পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা। তবে পদ্মা সেতুর ওপারে ভাঙ্গার পর যানজট বেড়ে গেলে সময় আরও বেশি লাগবে। তখন অর্থনীতিতে সাশ্রয়ও কম হবে।

পাটুরিয়া দিয়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা। কখনও আরও বেশি। পদ্মা সেতু দিয়ে গেলে দূরত্ব কমে হচ্ছে ৩০১ কিলোমিটার। সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (দুপুর ১:৫০)
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০