তানোর প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের মধ্যে আলোচিত রাজশাহী-১ তানোর-গোদাগাড়ী ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আয়েশা আখতার ওরফে ডালিয়াকে নিয়ে মুখরুচোক গুঞ্জনের ডালপালা মেলছে। এদিকে তানোর-গোদাগাড়ী এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত, তিনি উন্নয়নের লক্ষ্য এই আসনে নৌকার মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অথচ তার এই বক্তব্য সরাসরি আওয়ামী লীগ বিরোধী। তার কথায় আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে ব্যর্থ এটা সরাসরি বিরোধী বক্তব্য। রাজশাহীর এই নির্বাচনী এলাকায় ডালিয়ার বাবা ও দাদার বাড়ি তাই তিনি এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় কারো বাবা-দাদার বাড়ি থাকলেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করা যায় এটা এই প্রথম শোনা গেল। তবে স্থানীয়রা বলছে, তার বাবা ছিল প্রসিদ্ধ দালাল ও সনামধন্য চিট।
অন্যদিকে পাঁচবার দলীয় মনোনয়ন, একবার প্রতিমন্ত্রী, তিনবার নির্বাচিত সাংসদ, একবার জেলার সভাপতি ও সম্পাদক এমন পরীক্ষিত নেতৃত্ব ফারুক চৌধুরীকে কেনো মনোনয়ন বঞ্চিত করে ডালিয়াকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার ব্যাক্ষা এই জনপদের মানুষ জানতে চাই। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আয়েশা আক্তার ডালিয়া এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে মাঝে মধ্যে তানোরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কথিত সেভেনস্টার অনুগত
দু’একজন বগীর সঙ্গে কথা বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে গণসংযোগ। কিন্তু তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপির ৮১টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী তার সঙ্গে নাই,তাহলে তিনি ভোট করবেন কাদের নিয়ে, আর তার সঙ্গে আছে কারা এসব বিবেচনায় ডালিয়াকে নিয়ে সাধারণের মাঝে নেতিবাচক আলোচনা ও নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সূত্রপাত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো সাংসদ ফারুক চৌধূরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরীক্ষিত তৃণমূলের আস্থা ও ভরসার প্রতিক এমপি ফারুক আবারো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন সেটা প্রায় ৬ মাস আগেই নিশ্চিত হয়েছে। অথচ কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না তাকে কখানো কোনো অবস্থাতেই তৃণমূল মেনে নিবে না। কিন্তু মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও একশ্রেণীর কথিত নেতা বগী আওয়াজ
এমপির মনোনয়ন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে ডালিয়াকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে মাঠে নামিয়ে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নষ্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর লেজ কাটতে এক প্রতিমন্ত্রী বিপদগামী কিছু বগী নেতার সমন্বয়ে সেভেনস্টার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কথিত সেভেনস্টার হারিয়ে গেছে এখন প্রতিমন্ত্রীর নিজের লেজেই পা পড়েছে। ফলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে, এখন তিনি আবারো ফারুক চৌধুরী বিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করছে। অন্যদিকে একবিবি মাঠে নামায় অন্যবিবিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এমনকি আসল-নকল মিলেমিশে সব বিবিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার ওপর চড়াও হয়েছে। ফলে ঘরে-বাইরে বিবি আতঙ্কে সে এখন নিজেই দিশেহারা, ভিক্ষা চাইনা কুত্তা সামলাও পরিস্থিতিতে নাজেহাল। এবিষয়ে একাধিকবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আয়েশা আখতার ডালিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় তাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।