হাজীগঞ্জের সোনাইমুড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফ মাস্টার হত্যার বিচারের প্রহর গুনছেন তার পরিবার 

শ্যামল সরকারঃচাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সোনাইমুড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফ মাস্টার হত্যার বিচারের প্রহর গুনছেন তার পরিবার, তারই সঙ্গে সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১১ নং খুনি ও  ও লতিফ মাস্টারের খুনিও কুলাঙ্গার মেজর রাসেদ চৌধুরী  এ ব্যাপারে লতিফ মাস্টারের পরিবার জানায় রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে তার প্রতিবেশী সোনাইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান আব্দুল লতিফ মাষ্টারকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ রয়েছে।২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনাইমুড়ী এলাকায় রাশেদের ঠিকানা চৌধুরী বাড়ীতে গেলে এলাকাবাসী ও রাশেদের বিচারের প্রহর গুণা মরহুম আব্দুল লতিফ মাষ্টারের পরিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।মরহুম আব্দুল লতিফ মাষ্টারের ছেলে আহসান হাবীব  কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি তখন ছোট ছিলাম। আমার মা বলেছেন ১৯৭৪ সালের ২মে সেই ভয়াল রাত মেজর রাশেদ চৌধুরী আমার বাবাকে বাড়ী থেকে স্কুল সংক্রান্ত কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে গেলো। কিন্তু বাবাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।পরে ৩ দিন পরে বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পাওয়া গেলো ফেনী ছাগলনাইয়া ব্রিজের নীচে। এই নরপিশাচ রাশেদ চৌধুরীই আমার বাবার হত্যাকারী এবং জাতির জনকেরও হত্যাকারী। আমি তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমেরিকা প্রবাসী ভাই বোনদের কাছে এই খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মাধ্যমে আমাদের এই ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নকে কলঙ্কমুক্ত করতে সুদৃষ্টি কামনা করছি।মরহুম আব্দুল লতিফ মাষ্টারের স্ত্রী কুদছিয়া বেগম কে বলেন, আমার স্বামীকে খুন করেছে ওই রাশেদ চৌধুরী। আমি এই খুনি রাশেদ চৌধুরীর বিচার দেখার আশায় এখনো বেঁচে আছি।মরহুম আব্দুল লতিফ মাষ্টারের ছোট মেয়ে নাছিমা আক্তার ‘কে বলেন, রাশেদ চৌধুরী শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয় ওই খুনি আমার বাবা আব্দুল লতিফ মাষ্টারকেও খুন করেছে। এতো বছর হয়ে গেলেও এখনো আমার বাবার হত্যার বিচার পেলাম না। তাকে দেশে এনে কঠোর বিচারের আওতায় আনা হোক এই দাবী জানাচ্ছি।৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামসুদ্দিন মিয়াজী ‘কে বলেন, মরহুম আব্দুল লতিফ মাষ্টার একজন ভালো লোক ছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ওই রাশেদ চৌধুরী। তাই আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করি আব্দুল লতিফ মাষ্টার এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী কে অভিলম্বে বিদেশ থেকে গ্রেফতার করে এই বাংলার মাটিতে এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যাকর করা হউক।এদিকে রাশেদ চৌধুরীর বাড়ীতে গেলে তার ভাতিজা সোনাইমুড়ী গ্রামের আরেফিন ফয়সাল চৌধুরী কে বলেন, আমার চাচাকে আমি কখনো চোখে দেখিনি। তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই এমনকি কোন যোগাযোগও নেই। এই বাড়ীটি আমার বাবার। চাচার মাঠে এবং পুকুরে যেই জায়গা ছিলো ১ একর ১৫ শতক তা সরকার ২০১৪ সালে বাজেয়াপ্ত করেছে। চাচা অপরাধী হলে দেশের আইন তার যে বিচার হয় সেটা করবে। এ নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই।এ বিষয়ে হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে করা একটি বিবিধ মামলা করা হয়েছিলো। মামলা নং-২২/১৩,১৪। সেই বিবিধ মামলা মুলে ৩৯৩ নং দাগে ১২ শতক, ১৪১ নং দাগে ৭৫ শতক এবং ১১৭২ নং দাগে ২৮ শতকসহ মোট ১ একর ১৫ শতক সম্পত্তি রাশেদ চৌধুরীর নামে তার ভাই বোনদের মধ্যে আপোস বন্টন শেষে পাওয়া যায়। যা তৎকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করে খাস করা হয়। বর্তমানে এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে ওই খাস জমি। সরকার পরবর্তীতে যেভাবে ওই খাস জমি নিয়ে নির্দেশনা দিবে আমরা ঐভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বৃহস্পতিবার (রাত ১০:৫৮)
  • ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০