পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সনদ ছাড়াই ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে র্যাব-১১। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান, র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে তাদের থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ঘোড়াশাল বাজারের স্বপ্না মেডিকল হলের শীতল চন্দ্র দাশ, পূবালী বাজারের জাকারিয়া ফার্মেসীর মোঃ কামরুজ্জামান, চরনগরদী বাজারের জাহাঙ্গীর মেডিকেলের মোঃ কাইয়ুম মিয়া ও গ্রামীন ড্রাগস এর মোঃ আমিনুল ইসলাম।
আটকের সময় তাদর কাছ থেকে ৩ টি স্টেথীস্কোপ, ২ টি ব্লাড প্রেসার মেশিন, ১ টি নেবুলাইজার মেশিন, ১ টি ওজন মাপার যন্ত্র, ৫ পাতা প্রেসক্রিপশন, ৪২টি ভিজিটিং কার্ড, ৩৬ টি প্রেসক্রিপশন প্যাড, ১ টি থার্মোমিটার, ৩ টি মোবাইল, ৪ টি সীমকার্ড ও রোগী দেখার নগদ নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত পলাশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ভুয়া চার চিকিৎসককে আটক করে র্যাব -১১ এর একটি দল।
র্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পলাশের বিভিন্ন স্থানে সনদ ছাড়াই ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ভুয়া চার চিকিৎসকে আটক করা হয়।
নরসিংদীর র্যাব ১১ এর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হাসান এক প্রেস বিঞ্জপ্তিতে জানান, আটককৃতরা দীর্ঘ দিন যাবৎ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
তাদের বিএমডিসি/বিডিএস কর্তৃক অনুমোদিত কিংবা একাডেমিক কোন সার্টিফিকেট না থাকলেও তারা চেম্বার পরিচালনা করে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছিল। তাদের কারও কারও কাছে আর্টস গ্রুপে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট রয়েছে। তারা একাডেমিক সার্টিফিকেটধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার নামীয় চিকিৎসা প্যাড/প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদর সাথে প্রতারণা করে আসছিল।