নিউজ ডেস্কঃ
বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী ২০ দলীয় জোট বহুদিন ধরেই অকার্যকর। মাঝেমধ্যে বৈঠক আর একে অন্যের অনুষ্ঠানে যাওয়া ছাড়া এই জোটের কোনো কর্মসূচি নেই।
আগে একসঙ্গে সমাবেশ কিংবা গণজমায়েত কর্মসূচি ছিল। এখন বিএনপি একাই গণসমাবেশ করছে। ১০টি বিভাগে বৃহৎ জনসভাগুলোতে জোটের শীর্ষ নেতাদের দেখা যায়নি।
জোটের অভ্যন্তরীণ দলগুলোর মধ্যেও কাদা ছোড়াছুটি লক্ষ্য করা গেছে। একাধিক দল বেরিয়ে গেছে। বেরিয়ে যাওয়া দলগুলোর একটি অংশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে জোটের সংখ্যা টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
জোটের বৃহৎ দল বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে বেশ কয়েকটি দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতের সঙ্গে দলটির সম্পর্ক আগের মতো নেই। টানাপোড়েন লক্ষ্য করা গেছে। এমতাবস্থায় ২০ দলীয় জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে শরিকদের এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানাবে না।
এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা না বলতে শরিকদেরও অনুরোধ জানিয়েছে দলটি। ওই বৈঠকে শরিকদের ‘জোট’ গঠন করে কিংবা ‘একক’-যেভাবেই হোক যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জোটে থাকা ১১ রাজনৈতিক দল নতুন করে একটি ‘ফ্রন্ট’ গঠন করছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট’ নামে এই ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। এছাড়া ৬টি দলও আলাদা জোট গঠনের চেষ্টা করছে। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি এককভাবে কর্মসূচি পালন করবে।