রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

নিউজ ডেস্কঃ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে একটি সেতু নির্মাণে ১০ বছর দেরি হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন আমাদের রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তাই বিদেশি ঋণ না নিয়ে এই টাকা ব্যবহার করা যায় কিনা তা দেখা দরকার।
তিন মাসের আমদানি ব্যয় জমা থাকলেই সেটি স্বস্তিদায়ক, সেখানে আমাদের যে অর্থ জমা আছে তা দিয়ে প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা ঋণ হিসেবে নিয়ে ব্যয় করা যায় কিনা সেটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা (সম্ভাব্যতা যাচাই) করতে হবে। সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের অর্থ ব্যয়ের নির্দেশ দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটি আইডিয়া দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই অর্থ ব্যয় করলে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে এবং এ অর্থ ব্যয় করা যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে এই অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যায়। তবে ঋণ নিতে হবে ডলারে এবং পরিশোধও করতে হবে ডলারেই। তাছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নিলে সুদ কম থাকলেও নানা শর্ত মানতে হয়। ফলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেরি হওয়াসহ নানা জটিলতা থাকে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের টাকা নিজেরাই ব্যবহার করব, বাম হাতের টাকা ডান হাত ঋণ নেবে এতে কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে এ বিষয়ে নিয়মকানুন, নীতিমালা ও বিধি ঠিক করবে অর্থ বিভাগ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ১০ বছর সময় লাগার বিষয়টি ঠিক নয়। এটি বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই শেষ করতে হবে। প্রকল্পটি হচ্ছে ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদর দফতরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ।
এটির ব্যয় ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সৌদি আরব ও ওপেক ফান্ডের ঋণ প্রক্রিয়াকরণ এবং পরামর্শক নিয়োগে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন দেরি হয়েছে। অপর এক অনুশাসনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন থেকে এত ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করা যাবে না। এতে পরিবেশ, নদীর গতিপথ এবং নদীর গভীরতার ওপর প্রভাব পড়ে।
এজন্য এখন থেকে সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এলজিইডি, পরিকল্পনা কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোভিড-১৯’র কারণে উন্নয়ন বন্ধ থাকবে না। আমরা জেনে-বুঝেই প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছি। আশা করছি কোভিড দীর্ঘায়িত হবে না। আমরা দ্রুত মূল ধারায় ফিরে আসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (রাত ১:৫২)
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১