বিশেষ প্রতিনিধি-
হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের দাবীতে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে ইপসা ‘র উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারক লিপি প্রদান
আজ ১২জুলাই-২৩ স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার উদ্যোগে স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন এর দাবীতে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম আবুল বাশার মো. ফখ্রুজ্জামান এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ইপসার পক্ষে স্মারকলিপি উপস্থাপন করেন ইপসার পোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস। এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইপসার কর্মকর্তা সৈয়দ মোহন উদ্দিন, মুহাম্মদ আতাউল হাকিম ও ওসমান গণি প্রমুখ।
স্মারক লিপি প্রদানের পাশাপাশি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে প্রস্তাবিত দাবীর স্বপক্ষে অবস্থান কর্মসূচি ও জনসাধারণের মাঝে লিপলেট বিতরণ করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি কালীন ইপসার পক্ষে থেকে বলা হয় স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন বর্তমান সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুসারে “স্মার্ট বাংলাদেশ” হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। এটির বাস্তবিক রূপ দেয়ার জন্য অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দেশের সকল নাগরিকের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ” বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১” অনুযায়ী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে গড়ে তোলার জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় কমিয়ে আনতে সংগঠনটির পক্ষে নিন্মোক্ত সুপারিশগুলো প্রদান করা হয়।
১। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং তহবিল প্রদান করা ( প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অথবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে হতে পারে।
২। অস্বাস্থ্যকর পণ্য ( কোমলপানীয়, তামাক, ফাস্টফুড, জাংকফুড, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য) এর উপর নির্ধারিত কর আরোপ করে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের আর্থিক যোগান স্থায়িত্বশীল ও নিশ্চিত করা।
৩। সরকারের বিদ্যমান কমিউনিটি ক্লিনিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কমিউনিটিগুলোতে হেলথ প্রমোশনের বিষয়টি যুক্ত করা
৯। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা।
১০। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটি, পরিবেশকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা এবং মতামত সমূহ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।