মাহাবুবুর রহমান সেলিম
মাননীয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস কে আমার অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ।
দীর্ঘদিন পর ডায়াবেটিক সমিতির গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছেন এবং চাঁদপুরের বিশিষ্ট সামাজিক সৃজনশীল এবং দায়িত্ববান ব্যক্তিদের আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিশেষভাবে সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। দুর্নীতিকে অঙ্গুলি দিয়ে দেখিয়ে দিতে এবং না বলার জন্য চাঁদপুরের সচেতন নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ার অভিপ্রায় পুরো দেশের সাথে চাঁদপুরবাসী ও কামনা করে। দুর্নীতির কালো হাত ভেঙ্গে শোষণ-বঞ্চনা মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে এবং বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ নানা সামাজিক সংগঠন গুলিকে গণতন্ত্রের ছকে আনা। চাটুকারি ও দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত করে চাঁদপুরের ঐতিহ্য রক্ষা করা। একটি সুন্দর স্বপ্ন, ভাবনা, সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড এবং প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থাভাজন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক হিসেবে যা অর্পিত হয়েছিল তা তিনি আন্তরিক প্রচেষ্টায়, সকল উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছেন। যা চাঁদপুরের সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টি এড়ায়নি। করোনাকালীন সময়ে, জীবন যুদ্ধে অসহায় ক্লান্ত মানুষগুলো যখন তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে ছিল একটুখানি নিংড়ানো ভালোবাসা পেতে। জেলা প্রশাসক তখন তার দুহাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। পুরো সাধ্যমত তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। তাই চাঁদপুরবাসী উজ্জীবিত আনন্দিত। প্রতিটি সমস্যাকে সমাধান করেছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে সঠিক উপলব্ধি, বুদ্ধিমত্তা ও সততার সাথে। সৃজনশীলতা হলো গভীরতম স্তর এটা যত বেশি দৃশ্যমান হবে, দক্ষতার আলোকে ততই তা সৃজনশীল হবে। সৃজনশীল ও প্রতিভাময়ী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মনের জানালা খুলে অবলোকন করেছেন জেলার প্রতিটি সমস্যা ও কর্মকান্ড। কিছুদিন আগেও আরেক স্পষ্ট বাদি নারী পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বেগম তিনিও নারীত্বের অনন্য অবদান, অনুপম কৃতিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন এই জেলায়। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের মিশনে থেকেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনস্বীকার্য। একুশ শতকে নারীর অবদান অনেক দৃশ্যমান। শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে আত্মনিয়োগেই প্রকৃত সফলতা। কষ্টের কাজ সুন্দর ও সফলভাবে সম্পাদনের জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া যায় একজন ভালো মানুষের সান্নিধ্য। এর ফলে মনের জোর অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। যদি মানুষ তার সঠিক কর্মকাণ্ডে পুরোপুরি মনোযোগী হন। তাহলে শত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে তিনি অবশ্যই সাফল্যের মুখ দেখেন এবং সমাজ ও উপকৃত হয়। আমাদের জেলা প্রশাসক ছিলেন তেমনি ব্যক্তি সম্পন্ন একজন সু পরামর্শক ও সততার প্রসারক। মানুষ তো ফেরেশতা নন।জীবন চলার পথে মানুষ ভুল করতে পারেন, কিন্তু সেই ভুলগুলো তুলে ধরা মোটেই দোষের কিছু নয়, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজের নানা স্তরের ভালো ও উদার মনের মানুষ শুধরে নেয় তার ভুলগুলো। এটা মহত্বের লক্ষণ এবং প্রকৃত মানুষের পরিচয়। আমি অন্যের সমালোচনার পাত্র কেন, যদি না আমি আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আমাকে শুধরে নেই। জীবনের সকল কর্মকাণ্ডে অশুভ রীতিকে ত্যাগ করে শুভ রীতিতে সুদৃঢ় থাকি। নিয়মিত ঝাড়ু দিলে ধুলো জমে না পরিচ্ছন্ন থাকে সবকিছু। এজন্য একটি অতীব সত্য প্রবাদ “যা জানেন বলুন, যদি বলেন সবটাই বলুন” এতে বক্তা বা লেখকের দোষ দেবেন না। নতুন ও পুরাতন এর দ্বন্দ্ব চিরকাল আছে এবং তা থাকবে এটাই চরম সত্য। কোন একটি আলোচনা ও লিখনিতে ভুলগুলো উঠে আসলে সেগুলো মোটেই সমালোচনা নয় বরং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে একজন আদর্শ ও মর্যাদাপূর্ণ মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। যা মানুষকে দারুন আকৃষ্ট করবে এবং জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠতে সাহায্য করবে। তাই আত্মসমালোচনা হলো উৎকৃষ্ট সমালোচনা যা মানুষকে বিশুদ্ধতার চূড়ান্ত শিখরে উঠতে সাহায্য করবে। তাই আবারও নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সম্পন্ন মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব অঞ্জনা খান মজলিস কে ফুলের শুভেচ্ছা। উনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকবেন। বিশুদ্ধতার শীর্ষে অবস্থান করবেন।