পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : বন্ধ হয়ে যাওয়ার দুই বছর পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে বাংলাদেশ জুট মিলের শ্রমিকদের চার সপ্তাহের মজুরী পাওনাদী সোমবার রাত থেকে পরিশোধ করা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কাশেম মোহাম্মদ হান্নান জানান, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার (২৪ মে) রাত থেকে স্থায়ী ১৯০৫ জন শ্রমিকের চার সপ্তাহের বকেয়া মজুরীর টাকা পরিশোধ করা শুরু করেছি। মঙ্গলবার সকল স্থায়ী শ্রমিক এ বকেয়া মজুরীর টাকা পেয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জুট মিলের ১৯০৫ জন স্থায়ী শ্রমিকদের সমোদয় পাওনাদীর টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। শুধু চার সপ্তাহের মজুরীর টাকা পাওনা ছিলো। তাও পরিশোধ করা হচ্ছে। এ সকল শ্রমিকদের পি, এফ. গ্র্যাইচুটির টাকাসহ মোট পাওনা ছিলো ২৩৪ কোটি টাকা।
মজুরি কমিশন ২০১৫ অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনাদী তাদের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হয়েছে। পি.এফ. গ্র্যাইচুটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ সকল পাওনার ৫০ শতাংশ স্ব স্ব ব্যাংক হিসেবে এবং বাকী ৫০ শতাংশ স্ব স্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধ করা হয়েছে।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২ জুলাই রাত ১০ টায় মিল কর্তৃপক্ষ মিলের উৎপাদন বন্ধ করে বিজেএমসির নোটিশ মিলের প্রধান গেইটে টাঙ্গিয়ে দেয়। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালের বিজেএমসির নিয়ন্ত্রাধীন বাংলাদেশ জুট মিলটিতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত ছিল।
এদিকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ ঘোড়াশালের এ বাংলাদেশ জুট মিলটি বেসরকারী কোম্পানী জুট অ্যালায়েন্স লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছরের চুক্তি করে।পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা মিলে আংশিক উৎপাদন শুরু করে। কয়েক মাসের মধ্যে তারা পুরোদমে মিলের উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান জুট অ্যালায়েন্স কর্তৃপক্ষ।