হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ও বাড়ছে পানি আর ডুবছে চিলমারীর বিভিন্ন গ্রাম। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দিনের পর দিন তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম সমূহ। তলিয়ে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলো। প্রায় কয়েক দিন থেকে পানিবন্দি থাকলে আশ্রয়ণবাসীদের কাছে মেলেনি কোন সাহায্য বা সহযোগিতা,তাই বাড়ছে দুর্চিন্তা,আর দেখা দিচ্ছে দুর্ভোগের। একদিকে যেমন খাদ্য সংকট অন্য দিকে আবার বিশুদ্ধ পানি অভাব,তার সাথে আবার ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা থেকে ও রয়েছে বঞ্চিত। সরকারী ঘর পেলে ও সরকারী ভাবে অন্যান্য সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত আশ্রয়নবাসীরা। জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে আর উজানের পানি ঢলে কুড়িগ্রামের চিলমারী ডুবতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাঁধ এলাকায় সদ্য নির্মান হওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলো। একই স্থানে গড়ে উঠা আর ও ১৫টি পরিবারের জন্য ১৫ টি ঘর নির্মান করা হলে ও নির্মানে অনিয়মসহ আশ্রয়ণ বাসীদের বের হওয়ার কোন রাস্তার ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আশ্রয়নবাসীরা বলে জানান তারা। এছাড়া ও নির্মানের সময় সামান্য একটু উঁচু করার কারণে বন্যা আসতে না আসতেই তলিয়ে গেছে ঘর গুলো তাই পরিবারের লোকজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়ার কারণে দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে হাহাকার এবং বাড়ছে দুশ্চিন্তা। আশ্রয়ণবাসীরা জানান, প্রায় কয়েক দিন থেকে তারা পানি বন্ধি অথচ কেউ তাদের কোন খবর নেয়নি, পায়নি কোন সাহায্য। আশ্রয়ণবাসী রিনা বেগম বলেন, স্বামী অসুস্থ হাতে কোন কাম কাজ নেই বন্যার কারনে কোথায় ও বের হওয়ায় ও সুযোগ নেই এবাড়ি ওবাড়ি থেকে সবার কাজ থেকে চেয়ে খেয়ে বেঁচে আছি। তিনি আরো জানান, কয়েক দিন থেকে পানিবন্ধি আছি কেউ আসে না আমাদের খরব নিতে। খুব কষ্টে দিনপার করছি, মন্তব্য করেন আশ্রয় নেয়া বেদেলা,মোরশেদাসহ অনেকে বলেন, ঘরগুলো নিচু হওয়ায় বন্যা শুরুতেই তলিয়ে গেছে আর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ায় কোন রাস্তা না থাকায় আরো বেশি বিপদ হইছে। তারা আরো জানান, প্রায় কয়েক দিন থেকে পানিবন্ধি হয়ে আছি, ঘরে থাকা খাবার শেষে হয়ে গেছে এহন কেমন করি কি খামো আর কেমন করি চলমো। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশ্রয়বাসীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমরা দ্রুত তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করছি। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, তাদের ভয়ের কোন কারন নেই, সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত তাদের ব্যবস্থা করা হবে।
মোঃ হাবিবুর রহমান।