চট্টগ্রাম বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দেওয়া হয়নি নির্বাচন

 

শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিষ্টেশন নং-১৩৩ এর কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দেওয়া হয়নি নির্বাচন। এই নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।গত ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ সংগঠনের নির্বাচন হয়।এতে নির্বাচিত সভাপতি- সম্পাদক হন মো. ইউনুচ ও খোরশেদ আলম।এ কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকতে চান আগের কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক।শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন,সংগঠনের সাধারন সভা না ডেকে সভাপতি মো. ইউনুচ, সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম শ্রমিকদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় থাকার জন্য মেতে উঠেছে।নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য শ্রমিকেরা চট্টগ্রাম পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও শ্রম অধিদপ্তরে ধর্না দিয়ে বেড়ালেও কোনো সাড়া পায়নি।শ্রমিকেরা আরো বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের ৩০ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করার পরও শ্রমিকদের মৃত্যুফান্ডের ৩০ লাখ টাকা তাদের পরিবারেরর সদস্যদেরকে দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক, মাহালছড়ি, মানিকছড়ি, রাজস্থলী, বড়ইছড়ি, তকির হাট সড়কে চলাচলকারী ২ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। প্রতিদিন যাত্রীবাহী প্রতিটি বাস থেকে ৬০ টাকা করে শ্রমিক ইউনিয়নের চাদাঁ আদায় করা হয়।প্রতিজন সদস্য থেকে মাসিক ২০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করে চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নে সদস্য রয়েছে ১ হাজার ১শত ৭০ জন। শ্রমিক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে আদায় করা চাদাঁর টাকা দিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বদানকারী শ্রমিক নেতারা বিলাস বহুল জীবন যাপন করলেও সাধারণ শ্রমিকের কল্যাণে তারা কোন কাজ করেনি। শ্রমিক ইউনিয়নের তিনটি যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নের মালিকানাধীন তিনটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যে টাকা আয় হয় তা শ্রমিক নেতারা নয় ছয় করে নিজেদের ভোগ বিলাস করছে বলেও জানান।অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইউনুছের কাছে জানতে তিনি বলেন,করোনার প্রাদুভাবের কারণে যথা সময়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।শ্রমিক ইউনিয়নের ফান্ডে টাকা না থাকায় ৩০ জন শ্রমিকের মৃত্যু ফান্ডের টাকা তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সভা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শ্রম অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশে সকল শ্রমিকদের জম্মনিবন্ধন সনদ জমা না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠার করা যাবে না।একটি নির্বাচন করতে গেলে প্রায় ৯লাখ টাকার মত খরচ হবে।এ টাকা কার কাছ থেকে নেবো।এই কারণে সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বিলম্ব হচ্ছে।প্রতিদিন যাত্রীবাহি বাস থেকে চাদাঁ আদায় করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,পাহাড়ীকা সার্ভিসসহ ৫০ থেকে ৬০টি যাত্রীবাহী বাস সড়কে চলাচল করে। চলাচলকারী যাত্রীবাহি প্রতিটি বাস থেকে ৬০ টাকা ও শ্রমিকদের কাছ থেকে মাসিক ২০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করা হয়।শ্রমিক ইউনিয়নের ফান্ডে টাকা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার প্রাদুভাব চলাকালে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েন।শ্রমিক ইউনিয়নের ফান্ড থেকে তাদেরকে ৩৬ লাখ টাকা প্রনোদনা দেয়া হয়।এছাড়া ২৪ জন বৃদ্ধ শ্রমিককে মাসিক ৪ শত টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক আহত হলে তাদের ২০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দেয়া হয়।শ্রমিক ইউনিয়নের ফান্ডে টাকা জমা হলে পর্যায়ক্রমে মৃত শ্রমিকদের মৃত্যুফান্ডের টাকা তাদের পরিবারকে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (সকাল ১০:২৭)
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০