শাহাদাত হোসেন,রাউজান( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বাড়ীঘোনার ৯শত পরিবারের যাতায়াত একমাত্র পথ রাউজানের সীমনা দিয়ে।তাঁদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে রাউজানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।জানা যায়,প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বাঁক কেটে ফেলায় খালের গতি পরিবর্তনে শত বছর পূর্বে হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাড়ীঘোনা গ্রামের বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে নিজ উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের উরকিরচর, খলিফার ঘোনা,শেখ পাড়া, দক্ষিন ঢাকাখালী,আবুর খীল এলাকার সাথে চলে যায়।এই গ্রামের মানুষরা কোনো প্রয়োজনীয় কাজে নিজ উপজেলা হাটহাজারীতে যেতে হলে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়ন দিয়ে চলাচল করতে হয়।হাটহাজারী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ৯শত পরিবারের ৩ হাজার মানুষ হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা হলেও তাদের চলাচলের সড়ক রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়ন সীমনায় হালদা নদীর উপর পুরাতন লোহার ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে।প্রতিদিন বাড়ীঘোনা এলাকার বাসিন্দারা,স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে এ ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজটি দিয়ে।বাড়ীঘোনা এলাকার নুরুল আলম বলেন,হালদা নদীর বাক কেটে দেওয়ায় হালদা নদীর গতি পরিবর্তনে শত বছর পূর্বে থেকে বাড়ীঘোনা হাটহাজারী উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।এ গ্রামেন ৯শত পরিবারের ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই কোনো উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।এলাকার ছেলে-মেয়েরা রাউজানের উরকিরচর উচ্চ বিদ্যালয়,আবুলখীল অমিতাভ উচ্চ বিদ্যালয়,নোয়াপাড়া কলেজ,আশালতা কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করে।চিকিৎসা সেবার জন্য নেই কোনো কমিউনিটি ক্লিন ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র।এলাকার মানুষ অসুস্থ হলে তাদের রাউজানের উরকিরচর হয়ে চট্টগ্রাম নগর সরকারী বেসকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়।পরিদর্শনে দেখা যায়,এ গ্রামে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ছাড়া আর কোনো উন্নয়ন হয়নি।বাড়ীঘোনা এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলের সড়ক গুলোর কোনো উন্নয়ন হয়নি।খানাখন্দক ভরা সড়ক ও হালদা নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজটি বিধ্বস্ত হতে পারে।অপরদিকে রাউজান উপজেলার পশ্চিম বিনাজুরী ও রাউজান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন গহিরা মোবারকখীল এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদীর বাঁক কেটে ফেলায় হালদা নদীর গতি পরির্বতন হয়ে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার হটাহাজারী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।বিচ্ছিন হয়ে পড়া গড়দুয়ারা এলাকার শতাধিক পরিবার এখন রাউজান উপজেলার পশ্চিম বিনাজুরী,রাউজান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা,মোবারকখীল এলাকার সাথে সংযুক্ত হয়ে বসবাস করে আসছে।এই শতাধিক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বর্তমানে লেখাপড়া করছেন দক্ষিণ গহিরা খান সাহেব আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়,খান সাহেব আবদুল করিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গহিরা কলেজে।হাটহাজারী উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গড়দুয়ারা এলাকার বাসিন্দারা সিপাহির ঘাট থেকে নৌকা দিয়ে হালদা নদী পাড় হয়ে গড়দুয়ারা উঠে হাটহাজারী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করতে হয়।অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা সড়ক পথ রাউজানের গহিরা চৌমুহনী হয়ে যানবাহন করে হাটহাজারী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম নগরীতে যাতায়াত করে থাকেন।