শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে একটি পোল্ট্রী ফার্মের খাদ্যের পাত্রে বিষ প্রয়োগ করে ১ হাজার ১৫০টি মুরগীর বাচ্চাকে ‘হত্যা’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার দিবাগত রাতে রাউজান পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ছিটিয়াপাড়া হাসমত আলী চৌধুরী বাড়িস্থ ২ হাজার সেটের একটি খামারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়,বিনাজুরী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত মো. হারুনের ছেলে মো. হামিদুল্লাহ সৌরভ
গত ৫-৬ মাস আগে এ মুরগীর খামার গড়ে তোলেন।
নোয়াপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অর্ধায়ণরত অবস্থায় গত দুই বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় সৌরভের। বেকারত্ব গোচাতে ৬মাসের জন্য ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মুরগীর সেট ভাড়া নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনেন সৌরভ। গত ৫দিন আগে প্রতিটি ৪১ টাকা করে ১৩৫০টি মুরগীর বাচ্চা ও প্রতিবস্তা সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ৫বস্তা খাদ্য ক্রয় করে খামারে তুলেন। গত রবিবার দিবাগত রাতে খামারের তারের বেড়া কেটে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে প্রতিটি মুরগীর পানির খাদ্যের পাত্রে বিষ প্রয়োগ করে। গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ১৩৫০ পিচ মুরগী মরে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত তরুন খামারী সৌরভ বলেন, ঋণ আর মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খামার করেছি। রাতে খামারের বেড়া কেটে খাদ্যের পাত্রে বিষ প্রয়োগ করে তোলা মুরগীর বাচ্চা গুলো হত্যা করেন।প্রতিটি খাদ্যের পাত্রে বিষের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমার ৭৫-৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, গত ছয় মাস আগে এ ফার্ম থেকে ৬০ হাজার টাকার খাদ্য চুরি হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার ও রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন। তারা উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তাকে মুরগীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার জন্য বলেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তরুন উদ্যোক্তাকে পরামর্শ দিয়েছেন। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও বলেন,এতগুলি মুরগী মারা যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুরগীগুলো কি কারণে মারা গেছে তা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছি।