তানোরে চাতালের আড়ালে অবৈধ মুড়ির কারখানা

 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে চাল কল বা চাতালের আড়ালে অবৈধ ভাবে মুড়ি ফেক্টরী গড়ে তুলে রমরমা ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ ওই চাতালে প্রতি বছর সরকারি ভাবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপরও নোংরা পরিবেশে দেদারসে জালানি কাট ও কেমিকেল মিশিয়ে প্রতিদিন মনের মন মুড়ি বাজার জাত করা হচ্ছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপির) মাদারিপুরে মতিউরের চাতালে দেওয়ান মুড়ি ফেক্টরী গড়ে তুলার ঘটনা ঘটে রয়েছে। এতে করে দিনরাত সমান তালে কাঠ পুড়ানোর কারনে কৃষি জমির ধানসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে বলে সচেতন মহলের দাবি। ফলে দ্রুত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কারখানাটি বন্ধের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার মাদারিপুর প্রবেশের মুখে চাতালের ভিতরে বিকট ভাবে ধোয়া বের হচ্ছে। ভিতরে গিয়ে চাতালের পুর্বদিকে তৈরি করা হচ্ছে মুড়ি। তৈরি করে সাথে সাথে প্যাকেট করা হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিল, ছবি ভিডিও করার সময় বাধা দিয়ে বলেন মালিক সেতুর হুকুম ছাড়া ছবি তোলা যাবে না। একটু পরেই বয়স্ক একব্যক্তি ডেকে জানান কিসের ছবি তুলছেন, আমরা চুরি করে ব্যবসা করছি না। সব দপ্তরের কাগজপত্র আছে। তাহলে দেখান, তিনি দেওয়ান নামের প্যাকেট নিয়ে এসে বলেন এখানে সবার অনুমতি আছে। প্যাকেটের গায়ে লিখা অটোমেটিক মেশিনে তৈরি দেওয়ান মুড়ি সবার সেরা, মসজিদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, মসজিদ মার্কা দেওয়ান মুড়ি, সবার সেরা, এক্সপোর্ট কুয়ালিটি, ইউরিয়া মুক্ত, নেট ওজন ৫০০ গ্রাম, বিএসটিএর মনোগ্রাম থাকলেও কোন কিছু লিখা নেই। ব্যাচ নং উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ন তারিখ, বাজার মুল্য লিখা আছে কোন তারিখ নির্ধারিত মুল্য কিছুই লিখা নেই। ভিতরের পরিবেশ মারাত্মক নোংরা, ওই পরিবেশেই চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।প্রস্তুত কারক মেসার্স দেওয়ান মুড়ি মিল মাদারিপুর বাজার তানোর রাজশাহী।
স্থানীয়রা জানান, যেখানে চাতালের বরাদ্দ হয় সরকারী ভাবে, সেই চাতালে কিভাবে মুড়ি মিল হয়। দিনরাত সমান তালে খড়ি পুড়ানো হচ্ছে। যার বিষাক্ত ধোয়ায় ফসল ও গাছ পালার চরম ক্ষতি হলেও নিষেধ করলেও উল্টো মামলার হুমকি দেন।
চাতালের মালিক মাদারিপুর গ্রামের মতিউর রহমান। রাতে নানা ধরনের ক্ষতিকারক কেমিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মুড়ি। মতিউরের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন নওগাঁর সেতু নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান সকল দপ্তরের কাগজ আছে বলেই প্রকাশ্যে কারখানা চলছে। আমি নওগার ছেলে সেই ক্ষমতা নিয়েই কারখানা চালাচ্ছি। কাগজপত্র দেখতে চাইলে দম্ভক্তি প্রকাশ করে বলেন প্রশাসন অভিযান দিতে এলেই বুঝবে আমি কে।
মতিউর জানান, চাতালের ব্যবসা নাই এজন্য ভাড়া দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ দেবনাথ কে কারখানা সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

সারোয়ার হোসেন
২৮ সেপ্টেম্বর /২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (বিকাল ৪:৩৪)
  • ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
  • ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১