রাউজান প্রতিনিধি:
কর্ণফুলী নদীর রাউজানের অংশে বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া, খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাঁচখাইন, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উভলং, পালোয়ান পাড়া, চৌধুরীহাট ও কচুখাইন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন অবাধে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। কর্ণফলী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিশাল বিশাল বালুর পাহাড়।সেখান থেকে ট্রাক ও চাঁদের গাড়ি করে পরিবহন করা হচ্ছে কর্ণফুলীর বালু। সরকারি ইজারা না নিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার বালু বিক্রি করলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।তবে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িতদের নাম বলতে কেউ সাহস করছেনা।জানা যায়,রাউজানের নোয়াপাড়া কচুখাইন থেকে উভলং পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর বালু মহল (১) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক কোটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে সরোয়ার ট্টের্ডিং নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইজারা নেয়।সরোয়ার ট্টেডিং কর্ণফুলী নদীর বালু মহল (১) ইজারা নেওয়ার কয়েক মাস পর বালু উত্তোলনের কার্যাদেশ দেয়।কিন্তু করোনার প্রাদুভাব চলাকালে সময় থেকে তার ইজারার মেয়াদ কার্যকর করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন সরোয়ার ট্টেডিং।পরবর্তী বালু মহল ইজারার কার্যাদেশ এর তারিখ থেকে ইজারার মেয়াদ কার্যকর করার রিট আবেদন করে।রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এস এম হেলাল উদ্দিন জানান, ১৪২৯ বাংলা সনে কর্ণফুলী বালু মহল এক ইজারা না নিয়ে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলন করেন সরোয়ার ট্রেডিং। ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য কর্ণফুলী বালু মহল (১) ইজারা দেওয়ার দরপত্র আহবান করলে সরোয়ার ট্রের্ডিং আবারো বালু মহল (১) ইজারা পাওয়ার আবেদন করেন।আগামী বৈশাখ মাসে কর্ণফুলী বালু মহল(১) ইজারা দেওয়া হবে। কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও কোন সময়ে প্রশাসন অভিযান করেনি। এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন কর্ণফুলী নদীর বালু মহল (১) ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্ণফুলী নদীর বালুর মহল (১)এর সীমানা হল রাউজান অংশের নোয়াপাড়া ইউনিয়নে।তবে লাম্বুর হাট, খেলার ঘাট, পাঁচখাইন এলাকায় পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কোনো বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা ছাড়া বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।