হালদা নদীর জেগে উঠা চরের মাটি গিলে খাচ্ছে ইটেরভাটা

 

শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মধ্যে জেগে উঠা চরের মাটি গিলে খাচ্ছে হালদা পাড়ে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলো।সরেজমিনে দেখা গেছে,
রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়ার বিপরিতে হালদা নদীতে জেগে উঠা হালদার চর, উরকিরচর ইউনিয়নের সার্কদা, দেওয়ানজি ঘাট এলাকায় হালদা নদীর মধ্যে জেগে উঠা চর, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন হালদা নদীর মোহনায় জেগে উঠা ছায়ার চর, উরকির চর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুরখীল এলাকায় পুরাতন হালদা নদীন চর থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে যান্ত্রিক নৌযানে করে হালদা নদীর পাড়ে গড়ে উঠা ইটের ভাটায় স্তুপ করা হচ্ছে ইট তৈরির জন্য।হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন রক্ষায় হালদা নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও হালদার পাড়ে গড়ে উঠা ইটভাটার মালিকেরা তা অমান্য করে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে যান্ত্রিক নৌযানে পরিবহন করছে প্রতিনিয়ত।চর কাটা মাটি নৌযানে পরিবহন করে ইট তৈরির জন্য ইটের ভাটায় মাটি স্তুপ করে রেখেছে।হালদার পাড়ে ইটভাটার মালিকরা হালদা নদী ছাড়া ও কর্ণফুলী নদী বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠা চর থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে যান্ত্রিক নৌযান ভর্তি করে ইট ভাটায় স্তুপ করে রাখা হচ্ছে।রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় হালদা নদীর তীরে শান্তি ব্রীকস,হারপাড়া এলাকায় আজমীর ব্রীকস, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া এলাকায় এ আলী নামের তিনটি ইটের ভাটা রয়েছে।গত দু’বছর পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর মোকামী পাড়া এলাকায় হালদা নদীর পাড়ে এ আলী ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়।এ আলী ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ার পর আবারো এ আলী এটর ভাটা চালু করে ইটভাটার মালিক। হালদা নদীর তীরে গড়ে উঠা তিনটি ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে হালদা নদীর চর কাটা মাটি।হালদা তীরে গড়ে উঠা ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়াই হালদা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।হুমকির মুখে পড়েছে হালদা নদীর মা মাছসহ জীববৈচিত্র। হালদা নদীর তীরে ইটেরভাটা বন্ধ করার জন্য সরকার ঘোষনা দেওয়ার পর হালদা নদীর পাড়ে রাউজানের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় শান্তি ব্রীকস,হারপাড়া এলাকায় আজমীর ব্রীকস,মোকামী পাড়া এলাকায় এ আলী ব্রীকস ইটভাটা বন্ধ করা হয়নি। রাউজানের পশ্চিম আবুর খীল শান্তি ব্রিকসের মালিক প্রিয়তোষ চৌধুরীর বলেন, ইটেরভাটায় ইট তৈরির জন্য আনা মাটি হালদা নদীর চরকাটা মাটি নয়।পুরাতন হালদা নদীর পাশে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।ইটভাটার লাইসেন্স থাকলেও তার মেয়াদ চলে গেলেও নাবায়ন হয়নি লাইসেন্স।ইটভাটার জন্য উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসায়িক অনুমতি পত্র নিলেও গত এক যুগ ধরে আদায় করা হয়নি পরিষদের ট্যাক্সের টাকা।উরকিচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল বলেন, আমার ইউনিয়নের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় শান্তি ব্রীকস, হারপাড়া এলাকায় একটি ইটভাটাসহ দুটি ইটভাটা রয়েছে। দুটি ইট ভাটার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হলেও গত একযুগ ধরে দুটি ইটভাটার মালিকরা পরিষদের ট্যাক্সের টাকা আদায় করেনি। কয়েকদপে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেটিশ দিয়ে ট্যাক্স আদায় করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়।তবুও
ইউনিয়ন পরিষদের ট্যক্সের টাকা আদায় করেনি তারা।প্রতিনিয়ত ইট ভর্তি ট্রাক ও ইটেরভাটার জন্য আনা মালামাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে উরকিরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • রবিবার (সকাল ৮:০১)
  • ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১