নিউজ ডেস্কঃ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে এখনো তৎপর রয়েছে ঘাতকদের একটি দল। যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য ঘটনার মতো আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য আস্ফালন করছে।
শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. দীপু মনি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ১৫ আগস্টে যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, আমরা শুধু তাদের বিচার করেছি। তার পেছনে সব কুশীলবকে আমরা এখনো সরাসরি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারিনি। সেই কাজটি করার দাবি এখন জোরালো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ৪১ বছরে অন্তত ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪-এর ২১ আগস্টের ঘাতক, ২০১৩-১৪-এর অগ্নিসন্ত্রাসের ঘাতকের দল এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য। এজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই এরা সফল হতে না পারে।
দীপু মনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের সমমনা ও উল্টোদিকে যারা তাদের কোনো আদর্শ নেই। অগ্নিসন্ত্রাস, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেয়া এগুলো কোনো আদর্শ হতে পারে না। যুদ্ধের সময়টা মুজিবের নামে যুদ্ধ হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর এদেশ তখন মুজিবের দেশ নামে পরিচিত। বাঙালি মুজিবের বাঙালি। সে কারণে তিনি এ জাতি রাষ্ট্র গঠনের মহানায়ক।
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বাংলাদেশ সরকারি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’-এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন শিক্ষামন্ত্রীসহ অতিথিরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
যুগান্তর