রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রাউজানের উরকিরচরে পুরাতন হালদা নদীর তীরে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ৬০ শতক খাস জমি বন্দোবস্তি দেয় সরকার।বন্দোবস্তি দেওয়া সেই জমি থেকে গভীরভাবে খনন করে মাটি কেটে নিয়ে গেছে হাটহাজারী উপজেলান দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি।সেই মাটি কেটে নিয়ে স্থানীয় প্রবাসী মোহাম্মদ শফির মালিকানাধীন কৃষি জমি মাটি ভরাট করছে। জানা যায়, রাউজান উপজেলার ১২নং উরকিচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উরকিরচর ও হটাহাজারী উপজেলার দক্ষিন বাড়ীঘোনা সীমনায় পুরাতন হালদা নদীতে জেগে উঠা সরকারী খাস জমি গত ১৯৯৯ সালে রাউজানের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের স্ত্রী হাসিনা চৌধুরীকে স্থায়ী বন্দোবস্তি দেয় সরকার। পুরাতন হালদা নদীর তীরে জেগে উঠা ৬০ শতক জমি বন্দোবস্তি পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের স্ত্রী দখল বুঝে নেয়।পরে সেই জমি তার আত্মীয় জামাল উদ্দিন ও তৌহিদুল আলমেকে দেখা শুনা করার দায়িত্ব দেয়। জামাল উদ্দিন অভেযোগ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের স্ত্রী হাসিনা চৌধুরীর নামে বন্দোবস্তি দেওয়া কৃষি জমিতে তারা চাষাবাদ করতো । মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের স্ত্রী হাসিনা চৌধুরীর নামে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্তি দেওয়া কৃষি জমি থেকে হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিন বাড়ীঘোনা এলাকার বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আবদুল মন্নান গভীর ভাবে খনন করে মাটি কেটে নিয়ে যায়। ৩ লাখ টাকার চুক্তিতে পাশবর্তী একই এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ শফি মালিকাধীন উরকিরচর মৌজায় অবস্থিত কৃষি জমি মাট ভরাট করেছে মেম্বার। অভিযোগকারী জামাল উদ্দিন আরো বলেন, মাটি কেটে নেওয়ার সময়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটতে বাধা দিলেও আমার বাধাকে অমান্য করে জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে মোহাম্মদ শফির কৃষি জমি ভরাট করে দিয়েছে সাবেক মেম্বার আবদুল মান্নান । বাড়ীঘোনা এলাকার বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আবদুল মন্নান এ বিষেয়ে বলেন, আমি কোন জমির মাটি খনন করেনি। বাড়ীঘোনা এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ শফির ম্যানেজার ওসমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে শফির মালিকানাধীন কৃষি জমি ভরাট করছে। এ ব্যাপারে উরকিরচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাউসারকে ফোন করে জানতে চাইলে, কৃষি জমি থেকে মাটি খনন ও ভরাট করার বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান তিনি ।