রাউজান প্রতিনিধি:
রাউজানে অবাধে চলছে পাহাড়-টিলা কাটার মহোৎসব। সরেজমিন দেখা গেছে,এসব পাহাড়-টিলা কাটা হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন এলাকায়।এই মাটি কেটে যোগান দেয়া হচ্ছে ইট ভাটায়।অবৈধ ইটভাটা মালিকদের অপতৎপরতয় অস্তিত্ব হারাচ্ছে পাহাড় টিলাগুলো।এভাবে চলতে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে সেখানকার পরিবেশ।পাহাড়- টিলা ভূমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট।হলদিয়া বৃন্দাবন ও বৃক্ষভানপুর এলাকার চারপাশে সবুজবৃক্ষে ঘেরা পাহাড়।এই পাহাড়-টিলার সৌন্দর্যের মাঝে খানে গড়ে উঠা অবৈধ কয়েকটি ইটভাটা।সেই ইটভাটাগুলো গিলে খাচ্ছে সেখানরা সবুজবৃক্ষে পাহাড়- টিলাগুলো। স্থানীয় লোকজন জানান,পাহাড়ী জনপদে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটা ৩০৩ এর সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী ওই এলাকার বিস্তীর্ণ সরকারি পাহাড়-টিলা কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা তার রাজত্ব চলছে, পাহাড় টিলা ভূমির মাটি কেটে সাবার করা হচ্ছে৷ উপজেলার শেষ প্রান্তে আর পাহাড়ী এলাকায় নির্জনতাকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়-টিলা ধ্বংসে তার রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলছেন,ইটভাটা মালিকেরা যেন পাহাড়-টিলা ধ্বংসের মিশনে নেমেছেন৷ শুধু মাটি কাটা হচ্ছে তা নয়, ছোট-বড় বৃক্ষও নিধন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আমরা চাই না পাহাড়-টিলা ধ্বংস হয়ে যাক। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে যা কাটা হয়েছে তা বাদ দিলেও বাকীগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন। অভিযুক্ত ইটভাটা মালিক মুহাম্মদ আলী বলেন,মাছের প্রজেক্ট করার জন্য জাহেদের বাবা মাটি কাটছেন, সে মাটি আমি নিচ্ছি। যেখানে মাছের প্রজেক্ট করা হচ্ছে সেটা সরকারি পাহাড়-টিলা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন ব্যক্তি মালিকানাধীন কবলাভুক্ত জায়গা। পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, পাহাড় টিলা ভূমি কাটা বেআইনি। নিজের বা মালিকানাধীন পাহাড় কাটার কোনো বিধান নেই, পরিবেশের জন্যও ক্ষতি। রাউজানে পাহাড়-টিলা কাটার কোনো তথ্য নেই, আমরা তথ্য পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, ‘পাহাড়-টিলা কোনো ভাবে কাটা যাবে না। ব্যক্তি মালিকানা বা সরকারি পাহাড় টিলা কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। বৃন্দাবনে পাহাড় টিলা কাটার তথ্য পেয়েছি, যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।