সরিষা ফুল হলো সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টি, যা পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলে।-হুমায়ুন আজাদের এ উক্তি যেন জীবন্ত রুপ পেয়েছে। হেমন্তের বিস্তৃত মাঠজুড়ে সোনালী ধানের পাশে সবুজের বুকে হলুদের পাপড়িগুলো বাতাসে দুলছে। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি রবি মৌসুমে চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এ বছর ফলনও হয়েছে বেশ বাম্পার। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে শুধুই হলুদের সমারোহ। তবে সরিষা ফুল ও সরিষা শাকের কদর থাকায় সেই ফুল ও শাক বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করছেন কৃষকরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। সরিষা ফুলের কদর বেশি থাকায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। জানা গেছে, সরিষার ফুল দিয়ে গৃহিণীরা মজাদার পিঠা ও বড়া তৈরি করছেন। তাই সরিষা ফুলের চাহিদা রয়েছে। উপজেলার চর জামাইল গ্রামের কৃষক নবী হোসেন ও নুরুল হুদাসহ অনেকেই জানান, তারা এ বছর ৪ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করে ১৩ হাজার টাকা খরচ করেছেন কিন্তু ফুল শাক বিক্রি করে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন। চর বিশ্বনাথপুরের জাকির,সাহেবের চরের রুমান মেছেরা গ্রামের আলাল উদ্দিন এবং চরকাটিহারী গ্রামের আব্দুল বাতেনসহ অনেক চাষীরা জানান, সরিষা চাষে তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম তবে লাভের পরিমাণ বেশি। তাই এবার অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার আবাদ করেছেন এবং ফলনও হয়েছে ভালো। এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণি জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও সরকারে বিনামূল্য বীজ ও সার দেওয়ায় কৃষকরা কম খরচে সরিষা আবাদ করে বাম্পার ফলনসহ সরিষার ফুল বিক্রি করে মোটা অঙ্কের আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তা ছাড়া পরিপক্ক সরিষা উৎপাদন করে আরও বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রচ্ছদ » অন্যান্য,জাতীয়,লীড নিউজ,সারাদেশ » হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে সরিষার আবাদ
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ২৭২ বার পঠিত
দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
আজকের দিন-তারিখ
- বুধবার (দুপুর ১২:১২)
- ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
- ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
- ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)