শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার উযাপিত হবে মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদকে ঘিরে রাউজানে জমে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট-বাজার গুলো। ২১জুন বুধবার বিকালে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণ গরু ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে আসে বিক্রেতারা।দুই থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা দামের গরু এনেছেও বিক্রেতারা। ছোট-বড় ও মাঝারী দামের গরু এসেছে পর্যাপ্ত পরিমানে। বেচাকেনাও হয়েছে ভালো। এই বাজারে কালু মানিক নামে এক বিশাল গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জসিম নামের এক ব্যক্তি। কালু মানিকের দাম হাকিয়েছে ৮লাখ টাকা। উপজেলার হাট-বাজার ছাড়াও কোরবানি পশু বেচাকেনা হচ্ছে পাড়ায়-মহল্লা গুলোতে। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী সেড গরু মহিষ বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছোট-বড় ডেইরি ফার্মে লালন পালন করা দেশী জাতের গরু। পাশাপাশি কৃষকরাও নিজেদের গৃহপালিত গরু-ছাগল মোটাতাজা করে কোরবানি পশুর হাটে এনে বিক্রি করতে দেখা গেছে। রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সূত্র মতে, রাউজানে ৪শত ৫৯ টি খামারে ৪১ হাজার, ৬শত, ১৭টি গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া প্রস্তুত করে রেখেছে খামার মালিকরা। খামার মালিকরা কোরবানির সময় বিক্রির জন্য লালন পালন করেছে ২ হাজার ৫শত ৮৭টি গরু-মহিষ। রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, পশ্চিম রাউজান চারাবটতল বাজারে প্রতি বছর ঈদুল আযহার সময় অস্থায়ী গরু ও ছাগলের বাজার বসে।শান্তিপূর্ণভাবে বেচাকেনা করতে পারে ক্রেতা বিক্রেতারা। বিনা হাসিলে এ বাজারের ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতা বিক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি নিরাপদ মনে করেন। যার কারণে রাউজানে সবচেয়ে বড় বাজার হয় চারাবটতল বাজার।