নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
থেমে নেই নারী সমাজ। আজকের নারীরা নেই কোনো অংশে পিছিয়ে। তারা আজ অন্তঃপুর থেকে বেরিয়ে বিশ্ব জয় করছে। শুধু সংসার নয়, সামলাচ্ছে বাইরের কাজও। পুরুষের পাশাপাশি আজ তারাও ধরছে সংসারের হাল। আজ তারা হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। গড়ে তুলছে নিজেদের পরিচয়। তেমনি একজন সাহসী ও স্বাবলম্বী নারী স্বর্না পোদ্দার।
স্বর্না সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির।শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-
উত্তরঃ–আমি সব সময় চেষ্টা করতাম নিজে কিছু করার।পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছেটা আমার বরাবর ছিলো। তারপর করোনাকালীন সময় ঘরে বসে ছোট একটা উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে আমি বিজয়ী গ্রুপের ফাউন্ডার তানিয়া আপুর এই সুন্দর উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পাড়ি এবং আপুর এই নারী উন্নয়ন সংগঠনে এর বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমি আবার আমার উদ্যোক্তা জীবনে ফিরে আসি।
প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-
উত্তর- নতুন করে হাতের তৈরী গহনা, সিগনেচার আইটেম,
সাথে রয়েছে ইন্ডিয়ান জুয়েলারি ড্রেস, চায়নিজ পোডাক্ট, খাদি -থ্রী পিস।
প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-
আমি অল্প পুঁজি নিয়ে নেমে ছিলাম, সৃষ্টিকর্তা আর্শিবাদে সবার ভালোবাসায় অনেক রেসপন্স পেয়েছি, প্রথম দিকে না পেলেও এখন আর সামনে পরিকল্পনা অনেক রয়েছে।
বিজয়ী থেকে আমার ব্যবসা শুরু বিজয় হাত ধরে আমি সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।।
প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?
উত্তরঃ আমাদের সমাজে সবসময়ই সব পুরুষের চোখে নারীরা ছোট হয়ে থাকে
নারীরা কিছু করবে নারীর টাকা ইনকাম করবে এটা সব পুরুষ মেনে নিতে পারেনা।। তাই নিজে কিছু করব এজন্য বাধা সম্মুখীন তো হতেই হবে আর যেহেতু বিজয়ীর সাথে আছি তাই সকল বাধা অতিক্রম করে আমি সামনে এগিয়ে যাবোই যাবো।।
প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?
উত্তরঃ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে আমি ফ্যামিলি কারো থেকে সার্পোট পাই নি, বাবা আমাকে সব বিষয়ে সাপোর্ট দেন বাট আমি মেয়ে হয়ে ব্যবসা করবো তা মেনে নিতে প্রথমে রাজি ছিলনা কিন্তু এখন সাপোর্ট দেয়। নিজে নিজে সবকিছু শুরু করা তবে আমার ফ্রেন্ড আমাকে কিছুটা হলেও সার্পোট করেছে, তারপর বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর।।কারণ উনার হাত ধরেই আমি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি আর আজ পূরনের পথে।
প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
উত্তর-আমি এইটুকুই বলব কেউ কিছু করতে চাইলে প্রথম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিজয়ী কে বেছে নাও, তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর হাত ধরো। অবস্যই সফল হবে।আর জীবনে কান কথা না শুনে চলবে সেই জীবনে সার্কসেস।